শনিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১১

লিখতে শেখা

    এখনো বাংলা লিখা ভালভাবে রপ্ত করতে পারিনি। এই ভয়ে লিখতেও পারছিলাম না। অবশেষে ভাবলাম এখানেই লিখা অনুশীলন করি। হাত মস্ক করাও হবে, আবার ভাবও প্রকাশ করা যাবে। আবশ্য ভাব প্রকাশে আমি অতটা সাবলিল নই। আমি  মানুষ কিভাবে কথার পর কথা বলে অথবা লিখে যায় তা  দেখে অবাক হয়ে যাই। আমার তাদের ভীষণ হিংসা হয়। অবশ্যিই এটা মানুষের একটা বিড়াট গুণ। জীব জগতের মধ্যে একমাত্র মানুষই কথার মাধ্যমে মনের সবটুকু ভাব প্রকাশ করতে পারে। যারা এটা সাবলিল ভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা করতে পারে তারা অতি মানব। আমি তা নই, আমি একজন সামান্য মানব।

   আজ অবশ্য চেষ্টা করছি। উপরের লেখাগুলো তারই ফল। আমি বরাবরই এক কথার মানুষ। বরঞ্চ না কথা বলারই মানুষ। যে কথা প্রকাশ করতে লোকে বিড়াট কাহিনী আদ্যপান্ত বর্ননা করে যায়, সে কাহিনী আমি এক কথাতেই সেরে ফেলি। আর কোন অনুভুতি প্রকাশের কথা যদি বলি তাহলে আমি বোবা হয়ে যাই। সেই যে বলে না "বোবা অনুভুতি" । আপনারাই বলুন, শীত সকালে কুয়াশাছন্ন কোন নদীর পাড়ে বসে আপনি সূর্যোদয় দেখছেন, এই অনুভুতি আপনি কিভাবে প্রকাশ করবেন? ঊজান থেকে হীম শীতল বাতাস বয়ে আসছে, চারিদিকে সাদাটে ঘন কুয়াশার ফাক দিয়ে রুপালি নদির বুক এবং ঐ পাড়ের রহস্যময় আবছা গাছ-গাছালির ছায়া, তার উপর দিয়ে সলাজ বধুর সাজে উকি দেয়া সূর্য, নদীতে তার প্রতিফলন, রাজহাঁসের জলকেলিতে আন্দোলিত শীতল জল আপনার পা ছুঁই ছুঁই করছে, এখন বলুন আপনার অনুভুতি।


    গিয়েছিলাম তানইল নামে একটি ছোট্ট গাঁয়ে। যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এই আত্রাই নদী। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন