বুধবার, ১২ জানুয়ারি, ২০১১

খোলা মাঠের সৌন্দর্য

     বাংলাদেশের দিগন্ত বিস্তৃত খোলা মাঠেরও একটা সৌন্দর্য রয়েছে। যেখানে এবরো থেবরো কোন ভূমিতে চোখ আটকে যায় না, দৃষ্টিকে প্রসারিত করা যায় সুদূর অসীম দূরত্বে। খোলা প্রান্তরের বুকে দাঁড়িয়ে অসীম স্বাধীনতার উপলব্দি নিজেকে বিশাল করে তোলে। এই খোলা মাঠে মরুভূমি বা প্রেইরী অঞ্চলের রুখখতা নেই, নেই স্তেপ ভূমির শুন্যতাবোধ, আছে বাংলার মমতা।







   এই মমতা গ্রাম বাংলার প্রতিটি কোনে ছরিয়ে আছে। ছাইয়ের গাদায়, গোবরের ঢিবি, উসি টাল, এঁদো ডোবা এবং কোথায় নাই?

মঙ্গলবার, ১১ জানুয়ারি, ২০১১

ভালোলাগা ভালোবাসা ঘনিষ্ঠতাবোধ

      বাল্যকালে আমরা যে এলাকায় থাকি, খেলাধূলা করি, বেড়ে উঠি, সে এলাকার প্রতিবেশের সাথে আমাদের একটা ভালোলাগা ভালোবাসাবোধ, একটা ঘনিষ্ঠতাবোধ গড়ে উঠে। শহুরে জীবনে এই ঘনিষ্ঠতাবোধ ক্রমে হারিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু গ্রামে গেলে আমি এখনো সেই বোধটুকু খুঁজে পাই। আত্রাই নদীর পাড়ে তানইল গ্রামে আমি সেই বোধটুকু খুঁজে পেয়েছিলাম। নদীর পাড় ধরে কাচা রাস্তা উজানের দিকে চলে গেছে। আগে এই রাস্তা ধরে গরু মহিষের গাড়ি ক্লান্ত পথ পাড়ি দিতো।শুনা যেতো গাড়িয়াল ভাইয়ের মন উতলা গান। এখন এই পথে চলে ভ্যান অথবা ভটভটি। রাস্তার ধারে গাছ গাছালির আড়ালে ঘরবাড়ি, আম বাগান, বাঁশঝার, পুকুর। সেগুলো পার হলে দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ।







    খোলা বিস্তৃন মাঠে ফসলের হাসি মনকে উতফুল্ল করে তোলে।

সোমবার, ১০ জানুয়ারি, ২০১১

শীতের শিশির

    কুয়াশার চাদর মুরি দিয়ে প্রকৃতি জরোসরো। নদীর ধারে নবীন শস্যখেতে কচি ডগাগুলো গায়ে শিশির বিন্দুর মুক্তদানা জড়িয়ে হাসছে যেন। ভিজে শরিরে সদ্যস্নাত গৃহবধুর স্নিগ্ধতা। স্ফটিক সচ্ছ টুপ টুপ জলের ফোঁটা পেলব অঙ্গে চুম্বন দিয়ে আছে।








সবকিছুতেই কেমন যেন ভালোলাগা ভালবাসার ছরাছরি।

রবিবার, ৯ জানুয়ারি, ২০১১

জীবন শুরুর স্বপ্ন

নদীর পাড় ঘেঁষে ধানের জ্বালা বুনেছে কৃষক। কাঁচা হলুদ ধানের শীষে শিশির বিন্দু জমে আছে। 


চারিদিকে জীবনের ছোঁয়া। জলের মাঝে হাঁসদের সন্তরন, ছোট ডিঙ্গি নৌকা করে মাছ ধরা, নদীর ঘাটে গৃহবধূর ঘষা মাজা, সবখানেই জীবন শুরুর স্বপ্ন। শীত সকালে লেপের মুরি থেকে বেরিয়ে এসে এই যে এক একটি দিন শুরু করা, গ্রাম বাংলার জীবনে শুধু এই শুরু করারই গল্প। প্রতিটি ঋতুর আগমনে শুধু নতুনের শুরুটাই গ্রাম্য জীবনকে আলোরিত করে যায়, কিন্তু শেষটা কখন যে শেষ হয়ে যায় কেউ তার খবর রাখে না।



আগমনের বার্তা সবখানে। শীতের শুরুতে কৃষকের ঘরে নতুন ধানের আগমন, মাঠে মাঠে কচি রবি শস্যের হাসি, খেজুর গাছের মাথায় রসের হাড়ি, চাদরমুরি দিয়ে রোদে দাঁড়ানো জরোসরো শিশুর দল জানিয়ে দেয় শীত এসে গেছে।

শনিবার, ৮ জানুয়ারি, ২০১১

লিখতে শেখা

    এখনো বাংলা লিখা ভালভাবে রপ্ত করতে পারিনি। এই ভয়ে লিখতেও পারছিলাম না। অবশেষে ভাবলাম এখানেই লিখা অনুশীলন করি। হাত মস্ক করাও হবে, আবার ভাবও প্রকাশ করা যাবে। আবশ্য ভাব প্রকাশে আমি অতটা সাবলিল নই। আমি  মানুষ কিভাবে কথার পর কথা বলে অথবা লিখে যায় তা  দেখে অবাক হয়ে যাই। আমার তাদের ভীষণ হিংসা হয়। অবশ্যিই এটা মানুষের একটা বিড়াট গুণ। জীব জগতের মধ্যে একমাত্র মানুষই কথার মাধ্যমে মনের সবটুকু ভাব প্রকাশ করতে পারে। যারা এটা সাবলিল ভাবে ঘন্টার পর ঘন্টা করতে পারে তারা অতি মানব। আমি তা নই, আমি একজন সামান্য মানব।

   আজ অবশ্য চেষ্টা করছি। উপরের লেখাগুলো তারই ফল। আমি বরাবরই এক কথার মানুষ। বরঞ্চ না কথা বলারই মানুষ। যে কথা প্রকাশ করতে লোকে বিড়াট কাহিনী আদ্যপান্ত বর্ননা করে যায়, সে কাহিনী আমি এক কথাতেই সেরে ফেলি। আর কোন অনুভুতি প্রকাশের কথা যদি বলি তাহলে আমি বোবা হয়ে যাই। সেই যে বলে না "বোবা অনুভুতি" । আপনারাই বলুন, শীত সকালে কুয়াশাছন্ন কোন নদীর পাড়ে বসে আপনি সূর্যোদয় দেখছেন, এই অনুভুতি আপনি কিভাবে প্রকাশ করবেন? ঊজান থেকে হীম শীতল বাতাস বয়ে আসছে, চারিদিকে সাদাটে ঘন কুয়াশার ফাক দিয়ে রুপালি নদির বুক এবং ঐ পাড়ের রহস্যময় আবছা গাছ-গাছালির ছায়া, তার উপর দিয়ে সলাজ বধুর সাজে উকি দেয়া সূর্য, নদীতে তার প্রতিফলন, রাজহাঁসের জলকেলিতে আন্দোলিত শীতল জল আপনার পা ছুঁই ছুঁই করছে, এখন বলুন আপনার অনুভুতি।


    গিয়েছিলাম তানইল নামে একটি ছোট্ট গাঁয়ে। যার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে এই আত্রাই নদী।