সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০১৩

গোলাম আজমের রায়ের প্রতিক্রিয়ায়

 শুনেছি বিচার নাকি থাকে অন্ধ, কোন ধরনের আবেগ অনুভুতি তাকে স্পর্শ করতে পারে না। আবার এও শুনেছি রাষ্ট্র একটি শ্রেণীকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং সেই রাষ্ট্রের বিচার ব্যবস্থা সেই রাষ্ট্র তথা সেই শ্রেণীরই অধীন। সুতরাং গোলাম আজমের অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদন্ড তুল্য হলেও সেই রায়ে আবেগের সংযোগ ঘটিয়ে তাকে নমনীয় করা হয়েছে। এখানে আবেগ কাজ করেছে দুটো। এক, এই দেশে ইসলামিক রাজনীতির স্থপতি বৃদ্ধ নেতার প্রতি সহানুভুতি; দুই, ইসলামিক রাজনীতির প্রতি সাংবিধানিক সহানুভুতি। সাধারণ জনগনের আবেগ, অনুভুতি, অপমান এখানে কাজ করেনি। কাজ করেনি অসংখ্য শহীদ পরিবারের সুবিচার পাওয়ার নীরব কান্না।

  শাসন ক্ষমতায় অধীন অথবা প্রধান বিরোধী দল উভয়ই সেই শ্রেণীরই প্রতিনিধি যাদের ইসলামিক রাজনীতির সাথে কোন বিরোধিতা নেই। বরং শ্রেণী হিসেবে উভয়ই ইসলামিক রাজনীতির পেছনের দেশী বিদেশী শক্তিগুলোর মদদ পেতে আগ্রহী। ধর্মীয় রাজনীতি নিষিদ্ধের ব্যপারে উভয় দলেরই অবস্থান এক।

  আমাদের দেশের অধিকাংশ বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এখনো একটা নস্টালজিয়া কাজ করছে যে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের মধ্যে এখনো কিছু প্রগতিশীলতা রয়েছে। তাই তারা এখনো এই দলের অনেক গণবিরোধী পদক্ষেপের প্রতি নীরব সায় দিয়ে যাচ্ছেন। এবং বুদ্ধিজীবীদের এই সমর্থনের ফলেই জনগণ এখনো বিভ্রান্ত হচ্ছেন। তারা প্রতিক্রিয়াশীল রাজনীতির বিরুদ্ধে নিজেদের শক্তি বিকাশে জোড় দেয়ার বিপরীতে আওয়ামী লীগের অনুকূলে মিথ্যা আশায় জোট বাঁধছেন।

  জনগণের রাজনৈতিক শক্তির দূর্বলতাই আজ সবকিছু জনগণের প্রতিকূলে নিয়ে যাচ্ছে। দেশ আজ চলে যাচ্ছে নষ্টদের হাতে। 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন